![]() |
ম্যাচ জিতে ফিরছেন লিটন ও সাইফ |
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাসকিনকে ঘিরে ধরলেন কয়েকজন। তাঁদের আবদারে ছবি তুললেন বাস ছাড়ার তাড়ার মধ্যেই। ওই পর্ব শেষ করে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটতে শুরু করা তাসকিনকে রসিকতা করে এক সাংবাদিক বললেন, ‘আজ এত ছবি তোলার হিড়িক…!’ মুখে হাসি নিয়ে তাসকিনও জবাব দিলেন, ‘শুধু শুধুই।’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কাল ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাসকিনদের কল্পনায় তো আরও বড় ছবি। ডাচদের বিপক্ষে জয়ের আনন্দের চেয়েও তাই গুরুত্বপূর্ণ ‘ভালো’ খেলার মানদণ্ডই। তাঁর মিনিট দশেকের সংবাদ সম্মেলনেও থাকল সেটির প্রতিচ্ছবি। যেখানে তাসকিনের বোলিংয়ের কথা যেমন এসেছে, তেমন জানতে চাওয়া হলো সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে। আরেকটা প্রসঙ্গ তো এখন অবধারিতই—আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ।
![]() |
২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তাসকিন |
![]() |
ফিফটির পর লিটন দাস |
তাসকিনের স্বস্তির অন্য একটা জায়গায়ও আছে। বছরের শুরুতে তাঁকে রাখা হয়েছিল সর্বোচ্চ বেতন ক্যাটাগরিতে। কিন্তু চোটের কারণে প্রথম ছয় মাস তিনি খেলতেই পারেননি জাতীয় দলের হয়ে। ওই ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দটা নাকি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে তিন উইকেট নেওয়ার পর কালও বল হাতে সফল ছিলেন। সব মিলিয়ে ছন্দ খুঁজে পাওয়ায় খুশি তাসকিন, ‘ছন্দ পেতে একটু কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু ভালো হচ্ছে। শেষ কয়েক সপ্তাহে অনেক কষ্ট করেছি। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি। চেষ্টা করছি প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের পাশপাশি তাসকিন আশাবাদী দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। তবে বড় টুর্নামেন্টেও ভালো করতে হলে একটি সূত্র মানতে হবে বলেই মনে করেন তিনি, ‘আমাদের দলটা আসলে ১৯–২০। এখানে একসঙ্গে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে সবার সমর্থন করাটাও।’
0 Comments